Chromosome- Type and Structure
আজ তোমাদের কাছে নিয়ে এসেছি সকল চাকরি পরীক্ষায় উপযোগী একটি বিষয়, যেখান থেকে প্রায় প্রতিটি চাকরি পরীক্ষায় প্রস্ন থাকে। বিষয় গুলি একটু ডিটেলস এ পরলে মনে রাখা সুবিধা হয়। বিষয় গুলির মাধ্যমে তোমাদের জিকে স্টক ধীরে ধীরে বাড়বে, যা তোমাদের জ্ঞানের পরিধিকে আরও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করবে
***********************
ক্রোমোজোম কাকে বলে?
নিউক্লিয়াসের নিউক্লিয় জালিকা থেকে যে সূত্রাকার বা দন্ডাকার বস্তু সৃষ্টি হয়, যা প্রোটিন এবং নিউক্লিক এসিডের সমন্বয়ে গঠিত এবং যা বংশগতি ও বিবর্তনে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করে তাকে ক্রোমোজোম বলে।
ক্রোমোজোম আবিস্কারক :
1879 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী ফ্লেমিং নিউক্লিয়াসের মধ্যস্থ সূত্রাকার অংশগুলিকে ক্রোমাটিন নামে অভিহিত করেন। 1888 খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী ওয়ালডেয়ার এই সূত্রাকার অংশগুলিকে ক্রোমোজোম নামে অভিহিত করেন।
ক্রোমোজোমের সংখ্যা :
কোন একটি নির্দিষ্ট প্রজাতির মধ্যে ক্রোমোজোমের সংখ্যা ধ্রুবক। জনন কোষ বা গ্যামেটে (শুক্রাণু ও ডিম্বাণু) ক্রোমোজোম একক সংখ্যার সেটে বা Haploid Set (=n) এ থাকে আর দেহকোষে ক্রোমোজোম দুটি হ্যাপ্লয়েড সেটে (=2n)অর্থাৎ একটি Deploid Set–এ থাকে। সস্য নিউক্লিয়াসে ক্রোমোজোম Triploid Set (=3n) এ থাকে। Haploid Set ক্রোমোজোমে জিনের সমষ্টিকে জিনোম বলে।মানুষের ক্রোমোজোম সংখ্যা 46 (Deploid)।
ক্রোমোজোমের
প্রকারভেদ :
ক্রোমোজোম সাধারণত দুই প্রকারের হয় -- অটোজোম এবং সেক্স ক্রোমোজোম।
জীবের দেহজ বৈশিষ্ট্য নির্ধারক ক্রোমোজোমকে অটোজোম বলে। মানুষের 46 টি ক্রোমোজোমের মধ্যে 44 টি অটোজোম।
অটোজোম ছাড়া অন্যান্য যে ক্রোমোজোম জীবের লিঙ্গ নির্ধারণে সাহায্য করে তাদের বলে সেক্স ক্রোমোজোম। এগুলো সাধারণত একজোড়া হয় এবং XY বা XO বা XX প্রকারের হয়। মহিলাদের দেহের সেক্স ক্রোমোজোম XX প্রকারের হয়; কিন্তু পুরুষ দেহে এরা XY বা XO প্রকারের হয়।
ক্রোমোজোমের গঠন
একটি আদর্শ ক্রোমোজোম নিম্নলিখিত অংশগুলি নিয়ে গঠিত – ক্রোমাটিড, ক্রোমোমিয়া,মুখ্য খাঁজ, কাইনেটোকোর,সেন্ট্রোমিয়ার,পেলিকল এবং ধাত্র টেলোমিয়ার, গৌণ খাজ এবং স্যাটেলাইট।
ক্রোমোজোমের দৈর্ঘ্য বরাবর একজোড়া কুণ্ডলীকৃত সূত্র থাকে। এদের প্রত্যেকটিকে ক্রোমাটিড বলে।প্রতিটি ক্রোমাটিড দৈর্ঘ্য বরাবর টি সুতোর মতো অংশ দিয়ে গঠিত; এদের ক্রোমোনিমা বলে। ক্রোমোনিমার অধিক ঘন অংশগুলিকে ক্রোমোমিয়ার বলে।
ক্রোমোজোমের সেন্ট্রোমিয়ারের কাছে যে অরঞ্জিত অংশ থাকে তাকে মুখ্য খাঁজ বলে। সেন্ট্রোমিয়ারের সঙ্গে যুক্ত চাকতির মতো অংশটিকে কাইনেটোকোর বলে। ক্রোমোজোমের মুখ্য খাঁজ অংশে যে ঘন অংশটি ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিড দুটিকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রাখে তাকে সেন্ট্রোমিয়ার বলে। ক্রোমোজোমের সাধারণত একটিই সেন্ট্রোমিয়ার থাকে। তবে কোন কোন ক্রোমোজোমে দুটি বা তার বেশি সংখ্যক সেন্ট্রোমিয়ার থাকতে পারে।
ক্রোমোজোমের ক্রোমাটিড সূত্রদুটি যে তরলের মধ্যে ভাসমান থাকে তাকে ধাত্র বলে। ক্রোমোজোমে আবরন থাকলে তাকে পেলিকল বলে।ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তদুটিকে টেলোমিয়ার বলে।
ক্রোমোজোমের মুখ্য খাঁজ ছাড়া অপর কোন কাজ থাকলে তাকে গৌণ খাঁজ বলে। কোন কোন ক্রোমোজোম এর শেষ প্রান্ত ফোলা হয়। এই অংশটিকে স্যাটেলাইট বলে।
ক্রোমোজোমের রাসায়নিক গঠন
ক্রোমোজোম প্রধানত প্রোটিন, নিউক্লিক অ্যাসিড (DNA ও RNA) এবং কয়েকটি ধাতব আয়ন (Ca ও Fe) দিয়ে গঠিত। এর মধ্যে 90% DNA ও ক্ষারীয় প্রোটিন থাকে এবং 10% RNA ও অম্লীয় প্রোটিন থাকে।
ক্রোমোজোমীয় অপেরণ (Chromosomal aberration)
ক্রোমাটিডে জিন সাধারণত রৈখিক সজ্জায় থাকে; কিন্তু বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের ফলে ক্রোমাটিডে রৈখিক সজ্জাক্রমের পরিবর্তন ঘটে যা ক্রোমোজোমীয় অপেরণ (Chromosomal aberration) নামে পরিচিত।
মানুষের ক্রোমোজোমীয় অপেরণ ঘটিত কয়েকটি অস্বাভাবিকতা
1) ক্লাইনফেল্টার–এর সিনড্রোম : এটি পুরুষদের এক প্রকার যৌন অস্বাভাবিকতা। এ ক্ষেত্রে পুরুষদের একটি X ক্রোমোজোম এর পরিবর্তে দুই বা ততোধিক X ক্রোমোজোম থাকে। এই রোগে পুরুষদের স্তন গ্রন্থি বৃদ্ধি পায়, জননাঙ্গ স্বাভাবিক হলেও শুক্রাশয় ক্ষুদ্র ও শুক্রাণু উৎপাদন হয় না।
2) টার্নার –এর সিনড্রোম : এটি স্ত্রীলোকদের এক প্রকার যৌন অস্বাভাবিকতা। এক্ষেত্রে স্ত্রীলোকদের দুটি X ক্রোমোজোমের পরিবর্তে একটি X ক্রোমোজোম থাকে। এই স্ত্রীলোকরা বন্ধ্যা হয়।
3) ডাউন–এর সিনড্রোম : এক্ষেত্রে মানুষের একুশতম ক্রোমোজোম সংখ্যা কোন কারণে তিনটি হয়। এদের ট্রাইসোমি-21 বলে। এদের ক্রোমোজোম সংখ্যা হয় 47 । এক্ষেত্রে দেহ খর্বাকার, জড়বুদ্ধিসম্পন্ন ও মানসিক ভারসাম্যহীন হয়। পুরুষরা বন্ধ্যা হয় কিন্তু স্ত্রীলোকেরা সন্তান ধারণ করতে পারে।
Also Read :
Current Affairs Practice Set-7: LINK
English Practice Set 10 : LINK
0 Comments
Please do not enter any spam link in the comment box